সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. এর অমিয় বানী

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. এর অমিয় বানী

১.ইমাম আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল। যাকে নিজ দাদা [হাম্বল] এর দিকে সম্বন্ধ করে আহমদ ইবনে হাম্বল বলা হয় । ১৬৪ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে বাগদাদ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন । শৈশবেই তাঁর পিতার ইন্তেকাল হয়ে যায় । তাই দাদা তাঁর লালন পালন করেন ।এ কারণেই দাদার দিকে নেসবত করে [ইবনে হাম্বল] বলা হয় । আরবের ‘শাইবান গোত্রের সাথে সম্পর্ক রাখতেন ।আর নাজ্জার ইবনে মা’আদ ইবনে আদনানের সূত্রে গিয়ে এই গোত্রের ধারা রসুল স. এর বংশ ধারার সাথে গিয়ে মিলিত হয় । ইমাম সাহেবের পিতা একজন সৈনিক এবং তাঁর দাদা এক সময় ‘সারখস’ এর গভর্নরও ছিলেন । পিতার ইন্তে কালের পর মাতা তার দীনি তবিয়তের ব্যাবস্থা করেন । কুরআন মাজীদ হেফজ করান। ভাষা শিক্ষায় দক্ষ করে তোলেন জীবন যাপনের যাবতীয় আদব ও শিষ্টচার শিক্ষা দেন । ইলমের আগ্রহ এই পরিমাণ সৃষ্টি করেন যে, অধিক মহব্বতের কারণে পরবর্তীতে তাকে নিজেকেই এই ব্যাপারে ভারসাম্যতা রক্ষার ব্যাপারে তারগীব দিতে হয় ।
২.ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. বলেন , আমি হাদীসের জ্ঞান লাভ করার জন্য সকাল সকাল ঘর থেকে বের হয়ে যেতাম । কোন কোন সময় আম্মাজান আমার জামার আচল ধরে বলতেন, একটু সকাল ত হতে দাও । কমপক্ষে ফজরের আজানটা হোক।
৩.ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. ষোল বছর বয়সেই ইলমে হাদীসের অন্বেষণ শুরু করেন । ইমাম মালেক রহ. এর ইন্তেকালের পর হাদীস শরীফের সবচেয়ে বড় দরসগাহ ছিল ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর দরসগাহ । যিনি ইমাম আবু হানিফা রহ এর গুরুত্বপূর্ণ শাগরিদ ছিলেন । ইমাম সাহেব নিজেই বলেন, আমি সর্বপ্রথম হাদীস শরীফ ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এর নিকট থেকে হাসিল করি । তখন আমার বয়স ছিল ষোল বছর । ওই বছরই ইমাম মালেক এবং হাম্মাদ ইবনে যায়েদ ইন্তেকাল করেন ।
৪.ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. বলেন, "রাই" -এ হযরত যারীদ ইবনে আব্দুল হামীদের কাছে যেতে চেয়েছিলাম । ওই সফরের জন্য পঞ্চাশ দিরহাম প্রয়োজন ছিল । কিন্তু আমার নিকট কিছুই ছিল না । আমার সাথীরা চলে গেল আর আমি থেকে গেলাম ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন