শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬

ইমাম আজম আবু হানিফা রহ. অমিয় বানী

ইমাম আবু হানিফা রহ.

১. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন , কোন মাসালায় যদি রসূলুল্লাহ (স: )এর হাদীস( (সহীহ হতে হবে কুরআন বা অন্য কেন হাদীসের বিপরীত হবে না )পাওয়া যায় তাহলে তো আমরা সানন্দে তা গ্রহণ করে নেই । আর যদি কোন মাসালার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম থেকে একাধিক মত পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেগুলোর মধ্য হতে একটি মত গ্রহণ করি । তাঁদের মত গুলোকে সম্পূর্ণ এরিয়ে যাই না । তবে তাবেঈনদের [ ইমাম আবু হানীফা রহ. এর সমসাময়িক উলামাদের] একাধিক মত পাওয়া যায় তা হলে সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মত ব্যক্ত করি ।

২.ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, কুরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরাম রা. এর ইজমা'র বিপরীত কোন ব্যক্তির জন্য নিজের মত পেশ করার বৈধতা নেই ।হাঁ ,যেসব মাসআলার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা তাঁদের উক্তিগুলোর মধ্য হতে সেই উক্তিটিই গ্রহণ করি যা কুরআন হাদীসের অধিক নিকটতর। আর এটাই ইজতেহাদের ক্ষেত্র ।

৩.ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন যদি দীনের ক্ষেত্রে সংকীর্ণতার ভয় না হতো তাহলে আমি কখনও ফতোয়া দিতাম না । যেসব বিষয়ের কারণে জাহান্নামে যাওয়ার আশংকা হতে পারে সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো "ফতোয়া"।

৪.ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন, যখন থেকে আমার বুঝ এসেছে , কখনও আমি আল্লাহ তাআলার উপর দুঃসাহসীকতা দেখাইনি । [ অর্থাৎ মাসআলা বলে আল্লাহ তাআলা ও তার রসুলের দিকে নেসবত করিনি ।]

৫.ইমাম আবু হানিফা রহ. যদি কোন মাসআলায় আটকে যেতেন এবং সমাধান না পেতেন তখন তিনি তাঁর ছাত্রদেরকে বলতেন ,"এটা আমার কোন গুনাহের কারণে হয়েছে ।" অতপর ইস্তেগফার শুরু করে দিতেন । আর অধিকাংশ সময় অযু করে দাঁড়িয়ে দু'রাকাত তাওবার নামায পড়ে দিতেন ।এতে মাসালার সমাধান হয়ে যেত ।তখন তিনি বলতেন ,এটা এক প্রকারের সুসংবাদ । আমি আশাবাদী হতাম যে আমার তাওবা কবুল করা হবে এবং মাসআলা বুঝে এসে যাবে । বিখ্যাত বুযুর্গ ফুযাইল ইবনে আয়ায রহ. যখন ইমাম আবু হানিফা রহ. এর এই আমলের ব্যাপারে জানতে পারলেন তখন কাঁদতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন ," আল্লাহ তাআলা আবু হানিফার রহ. এর উপর রহম করুন " তার গোনাহ অনেক কম ।[ তাই নিজের গোনাহ ও দুর্বলতা তিনি অনুভব করতে পারতেন ] কিন্তু অন্যদের তো এই অনুভুতিটুকু হয় না । কারণ তার গোনাহ তাকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে ।
৬.ইমাম আবু হানিফা রহ. পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন । ভুলক্রমে একটি শিশুর পায়ে তার পা লেগে গেল । তিনি তা দেখতে পাননি । ওই শিশু বলে উঠল, হে শায়েখ ! আপনি কি কেয়ামত দিবসের বদলাকে ভয় পান না ? এ কথা শুনে ইমাম সাহেব হুশ হারিয়ে ফেল্লেন । যখন হুশ ফিরে পেলেন তখন তাকে বলা হল, এই একটি কথার এমন প্রভাব ? তিনি বললেন , আমি আশংকা করছি যে, এ কথা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তার অন্তরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে ।
৭.ইমাম আবু হানিফা (রা.) -এর বিরুদ্ধাচারী এক ব্যাক্তি একবার তর্ক করতে গিয়ে ইমাম সাহেব কে লক্ষ্য করে বলল , হে বিদআতী ! হে বে-দ্বীন ! ইমাম সাহেব তাকে বললেন , ' আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা করুন । আল্লাহ তাআলা জানেন, তুমি ভুল বলেছ । মহান আল্লাহর পরিচয় পাওয়ার পর এখন আর কারও পরোয়া করি না । হ্যাঁ, সে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা পার্থনা করি এবং তার শাস্তিকে ভয় পাই । ' তখন ওই ব্যক্তি বলল ,আমাকে ক্ষমা করে দিন । তখন ইমাম সাহেব বললেন , কোন অজ্ঞ লোক আমার ব্যাপারে কোন কথা বলেছে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি । কিন্তু যে আলেম আমার ব্যাপারে এমন কথা বলেছে যা আমার মধ্যে নেই । তাহলে ব্যাপারটি জটিল হয়ে দাড়ায় । কারণ ইলামায়ে কেরামের গীবতের প্রভাব পরেও বাকি থাকে ।
৮.ইমাম আবু হানিফা রহ. এর সামনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির উক্তি বর্ণনা করত [যে ইমাম সাহেবদের সমালোচনামূলক কোন কথা বলোছে ] তখন তিনি তাকে থামিয়ে দিতেন এবং বলতেন, মানুষের অপছন্দনীয় কথাগুলো বর্ণনা করা ছেড়ে দাও। যে আমাদের ব্যাপারে কোন ভুল কথা বলেছে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করুন। আর যে আমাদের ব্যাপারে কোন ভাল কখা বলেছে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রহম করুন। [মানুষের উক্তি বর্ণনার পরিবর্তে ] আল্লাহ তাআলার দীনের জ্ঞান অর্জন কর। মানুষের কথা বাদ দাও। মানুষকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। হতে পারে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের মুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন।
৯.ইমাম আবু হানীফা রহ. কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে প্রখ্যাত তাবেঈ আলকামা (রহ.) শ্রেষ্ঠ নাকি আসওয়াদ রহ. শ্রেষ্ঠ ? উত্তরে ইমাম সাহেব বল্লেন, আল্লাহর সপথ ।আমি তো নিজেকে এর যোগ্য মনে করিনা যে আমি আমি তাঁদের নাম আমার মুখে আনব ।আমি তাঁদের একজনকে অপরজনের উপর কিভাবে প্রাধান্য দিতে পারি ?
১০.ইমাম সাহেবকে বলা হলো যে, মানুষ তো আপনার ব্যাপারে কথা বলে । [অর্থাৎ আপনার প্রশংসামূলক কথা বলে ] কিন্তু আপনি তো সেগুলোর উপর কোন কিছু বলেন না । তখন তিনি বললেন ,"এটা মহান আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যকে চান নিজের অনুগ্রহ দ্বারা ভূষিত করেন ।"
১১.ইমাম আবু হানিফা রহ. এর ব্যবসা ছিল বেশ বিস্তৃত । ব্যবসার যে লভ্যাংশ তিনি লাভ করতেন তার বিরাট একটা অংশ তিনি নিজের মাসায়েখ মাহাদ্দিসদের খেতমতে পেশ করতেন এবং বলতেন , আপনারা আপনাদের প্রয়োজনে এগুলো খরচ করুন । আর কেবল আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করুন । কারণ আমি আমার সম্পদ থেকে কিছুই দেইনি । বরং এগুলো আল্লহ তাআলার সম্পদ এবং তাঁর অনুগ্রহ ।যা আল্লাহ তাআলা আমার হাত দিয়ৈ চালু করেছেন ।
১২.ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন যদি আল্লাহ তাআলার ভয় না হতো এবং ইলম বিলুপ্ত হবার আশংকা না করতাম তাহলে আমি কাউকে ফতোয়া দিতাম না । সে তো [ফতোয়া জিজ্ঞেসকারী ] আরাম ভোগ করবে আর গোনাহের বোঝাটা থাকবে আমার মাথার উপর ।
১৩.ইমাম আবু হনিফা রহ. বলেন , আমি কখনও কোন মন্দের জবাব মন্দ দিয়ে দেই নি ।আমি কখনও কারও প্রতি অভিসম্পা করিনি আমি কোন মুসলমান অথবা জিম্মি কাফেরের উপর জুলুম করিনি আমি কখনও কাউকে ধোকা দেইনি । এবং কারও সাথে বিশ্বাসঘাতকাতা করিনি ।
১৪.ইমাম আবু হনিফা রহ. বলেন যে সময় হওয়ার পূর্বেই বড় হতে চায় সে লাঞ্ছিত হয়ে যায় ।
১৫.ইমাম আবু হানিফা রহ বলেন , যদি উলামায়ে কেরাম যদি আল্লাহওয়ালা না হন তবে দুনিয়া ও আখিরাতে কোন আল্লহ ওয়ালা নেই ।
১৬.ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন যে ব্যক্তি তে তার ইলম হারাম বিষয় ও বস্তু থেকে বাধা না দেয় সে ধ্বংসের মধ্যে রয়েছে ।
১৭.এক ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা রহ. কে জিজ্ঞেস করল , দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি অধিক সাহায্যকারী ? তিনি বললেন, 'একাগ্রতা অবলম্বন করা ।' সে আবার প্রশ্ন করল,একাগ্রতা হাসিল হবে কিভাবে ? তিনি বললেন,মেলামেশা ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় কমিয়ে দেওয়ার দ্বারা ।সে আবার বলল, এটা কিভাবে কম হবে ? তিনি বললেন, যে বস্তু যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি নিবে না ।
১৮.ফরজ নামায আদায়ের পর কতক লোক ইমাম সাহেবকে মাসআলা জিজ্ঞেস করল । ইমাম সাহেব সেগুলোর উত্তর দিলেন । তখন এক ব্যক্তি অভিযোগের স্বরে প্রশ্ন করে বসল, বুযুর্গগণ কি এই সময়ে ' উত্তম কথা' ছাড়া অতিরিক্ত কোন কথা বলতে নিষেধ করতেন না ? ইমাম সাহেব বললেন, ' হালাল-হারামের বিধান বর্ণনা করে দেওয়ার চাইতে উত্তম কথা আর কি হতে পারে ? আমরা মহান আল্লাহর অবাধ্যতা হতে তাঁর নিকট আশ্রয় কামনা করি আর মানুষকেও তা থেকে বাঁচাই ।
১৯.এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির সুপারিশ নিয়ে এসে বলল ,আপনি আমাকে ইলম শিখিয়ে দিন।ইমাম সাহেব বললেন , এভাবে ইলম অর্জন করা যায়না । আল্লাহ তাআলা উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়ে নিয়েছেন যে, তাঁরা যেন মানুষের কাছে ইলম বর্ণনা করে এবং তা না লুকায় । অতঃপর বল্লেন, আলেম একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা দেয়। তারা বিশেষ রহস্যজ্ঞানী হয় না ।
২০. ইমাম সাহেব তার এক শিষ্যকে বললেন, আমি যখন চলন্ত অবস্থায় হাঁটতে থাক অথবা মানুষের সাথে কথা বলতে থাকি কিংবা সওয়ার অবস্থায় থাকি বা বিশ্রাম নেই এই সময়গুলোতে আমার কাছ থেকে দ্বীনের কথা [মাসআলা-মাসায়েল ] জিজ্ঞেস করবে না । কারণ এই সময়গুলোতে মানুষের চিন্তা বিক্ষিপ্ত থাকে ।
২১. এক ব্যক্তি ইমাম সাহেবকে হযরত আলী রা. ও হযরত মুয়াবিয়া রা. এর পরষ্পর মতানৈক্য এবং তাদের মধ্যকার 'সিফফীন যুদ্ধে' নিহিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করল । তিনি উত্তরে বল্লেন , যখন আল্লাহ তাআলা আমাকে নিজের সামনে দাঁর করাবেন তখন আমাকে তাদের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করবেন না ।হাঁ, যেসব বিষয়ের দ্বায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করা হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হবে । তাই সেসব বিষয়ে লিপ্ত থাকাটাই আমি পছন্দ করি ।[যেগুলোর ব্যাপারে কেয়ামতের দিন আমাকে প্রশ্ন করা হবে ।]
২২.ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন ,আমি ওই সব লোকদের ব্যাপারে খুবই বিস্বয় বোধ করি , যারা দীনের ব্যাপারে অনুমান-আন্দায করে কথা বলে দেয় ।
২৩. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন , যে ব্যক্তি দুনিয়ার উদ্দেশ্যে ইলম শিখে সে ইলমের বরকত থেকে বঞ্চিত হয় । ইলমের গভিরতা সে লাভ করতে পারে না এবং আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ তার ইলম দ্বারা উপকৃতও হয় না । আর যে দীনের উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করে, ইলমের বরকত সে লাভ করতে পারে । ইলমের গভিরতা ও পরিপক্বতা সে লাভ করতে পারে । আর ইলম অন্বেষণকারীরাও তার ইলম দ্বারা উপকৃত হয় ।
২৪. একবার ইমাম সাহেব রহ. বিখ্যাত বুজুর্গ হযরত ইবরাহীম ইবনে ইদহাম রহ. কে বললেন , হে ইবরাহীম! আপনার তো ইবাদাতের বিরাট অংশ নসীব হয়েছে । আপনি ইলমের প্রতিও লক্ষ্য রাখুন । কেননা ইলমেদীন হলো ইবাদাতের বুনিয়াদ বা ভিত্তি । আর ইলমেদঅন দ্বারা দীন ও দুনিয়ার সকল বিষয় সঠিক পন্থায় পরিচালিত হয় ।
২৫. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন , যে ব্যাক্তি হাদীস পড়ে কিন্তু তার অর্থ বুঝে না সে হল ঐ ব্যাক্তির ন্যায় যে বহু ঔষুধ নিজের কাছে জমা রেখেছে । কিন্তু সেগুলোর ব্যাবহার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সে যথাযথ অবগত নয় ।
২৬. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, যখন দুনিয়াবী কোন কাজ সামনে আসে তখন কাজ আগে সমাধান করে নাও । তারপর খানা খাও ।
২৭. সমকালীন রাষ্টপ্রধান খলীফা মানসুর ইমাম সাহেবকে লক্ষ করে বলল , আপনি আমাদের কাছে কেন আসেন না ? ইমাম সাহেব বললেন , আমার নিজের কোন জিনিষের ব্যাপারে আপনার ভয় নাই । যদি আপনি আমাকে কাছে টেনে নেন তবে আমি ফেতনায় পড়ে যাব । অতপর যখন বিতাড়িত করে দিবেন তখন লাঞ্ছিত হয়ে যাব ।
২৮.তৎকালীন কুফার গভর্ণরও ইমাম সাহেব কে এ ধরণের কথা বলেছেন , তখন তিনি এর জবাবে বলেছেন রুটি টুকরো, পানির গ্লাস ও চামড়ার পোশাক সেই বিলাসী জীবন থেকে উত্তম, যার পরে [দুনিয়া ও আখিরাতে] লাঞ্ছিত হতে হয় ।
২৯. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, যে পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চায় তার জন্য দুনিয়ার কষ্ট কোন কষ্টই নয় । আর যে নিজের আত্মাকে সসম্মানে রাখে [অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের লাঞ্ছনা থেকে বাঁচতে চায় ] দুনিয়া তার কাছে তুচ্ছ ও অপদস্থ হয়ে হাজির হয়।
৩০. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন , নিজের জন্য গোনাহের বোঝা আর উত্তরাধিকারীদের জন্য ধন-সম্পদ জমা করো না ।
৩১.ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, হযরত আলী রা. যার সাথেই লড়াই করেছেন তিনি সত্যের উপর ছিলেন । যদি হযরত আলী রা. এর সাথে এসব লড়াই সংগঠিত না হতো তবে বিদ্রোহীদের শরঈ বিধান বুঝে আসত না ।
৩২. ইমাম আবু হানিফা রহ. কে একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করা হয়েছে যখন তিনি এর উত্তর দিলেন তখন প্রশ্নকারী তাকে বলল, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জীবিত থাকবেন এই শহরের জন্য কল্যাণ আর কল্যাণই বিরাজ করবে । তখন ইমাম সাহেব বললেন, এলাকা খালি হয়ে গেছে তাই আমার কোন খায়েশ ছাড়াই আমাকে ‘বড়’ মনে করা হচ্ছে । কিন্তু এই বড়ত্বটা আমার জন্য বেশ অস্বস্তিকর

৩৩. প্রখ্যাত তাবেঈ হযরত আ’মাশ রহ. এর নিকট কয়েকটি মাসআলা জিজ্ঞেস করা হলো । ওই মজলিসে ইমাম আবু হানিফা রহ.ও উপস্থিত ছিলেন । আমাশ রহ. ইমাম সাহেব কে বললেন , আপনি মাসআলাগুলোর উত্তর দিন । ইমাম সাহেব মাসআলা গুলোর উত্তর দেয়ার পর আ’মাশ রহ. তাকে বললেন, আপনি মাসআলাগুলোর উত্তর কোথ্থেকে সংগ্রহ করেছেন ? তিনি উত্তর দিলেন, ওই সব হাদীস থেকে যা আমি আপনার কাছ থেকে বর্ণনা করেছি । অতঃপর তিনি হাদীস গুলো তাকে শুনিয়ে দিলেন । তখন আ‘মাশ বললেন , যে হাদীসগুলো আমি আপনাকে একশ দিনে শোনিয়েছিলাম, আপনি কয়েকটি মুহূর্তের মধ্যেই আমাকে সেগুলোর সারাংশ শুনিয়ে দিলেন ! আমার এই ধারণা ছিল না যে, আপনি হাদীস গুলোর উপর এই ভাবে গবোষণা করবেন । অতঃপর আমাশ রহ. বললেন হে ফুকাহায়ে কেরাম ! আপনারা হলেন ডাক্তার । আর আমরা ত শুধু ঔষুধ বিক্রেতা । আর হে আবু হানীফা ! আপনি তো উভয়টাই রপ্ত করে নিয়েছেন । অর্থাত আপনার কাছে হাদীসও রয়েছে । ফেকাহ ও রয়েছে । ]

২টি মন্তব্য:

  1. এখানে রেফারেন্স দিয়ে লিখলে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। কোন কিতাবে কোন উক্তি সেটা উল্লেখ্য করা জরুরি।

    উত্তরমুছুন